এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন মাহাদি ইব্রাহিম। অত্যন্ত মেধাবী, পরিশ্রমী ও আত্মপ্রত্যয়ী এই শিক্ষার্থী স্কুলজীবন থেকেই একটি স্বপ্ন বুকে ধারণ করে বড় হয়েছেন—উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। সে লক্ষ্যে নিয়েছেন নিবিড় প্রস্তুতি, দেখিয়েছেন দুর্দান্ত অধ্যবসায়। এইচএসসি পরীক্ষার ফল এখনো প্রকাশিত হয়নি, তার আগেই মাহাদি পেয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘Presidential Merit Scholarship’। এই স্কলারশিপ নিয়ে তিনি ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছেন। মাহাদির এই অর্জনের পেছনে রয়েছে একান্ত সাধনা, সঠিক দিকনির্দেশনা, পরিবারের নিঃস্বার্থ সহযোগিতা এবং ভবিষ্যতের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার। তার এই সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত নয়, অন্য তরুণদের জন্যও অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে মাহাদির সেই স্বপ্নপূরণের যাত্রা—যা হয়ত আরও অনেক স্বপ্নবান তরুণের পথ দেখাবে।
আপনি এখন এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পর্যায়ে অফার লেটার এবং স্কলারশিপ পেয়েছেন। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার পেয়েছেন এবং কী ধরনের স্কলারশিপ ছিল সেগুলো?
মাহাদি ইব্রাহিম: এইচএসসি পরীক্ষা চলছে আমার। ইতিমধ্যে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগস্টেই যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাব। আমি যুক্তরাষ্ট্রের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পেয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম ছিল টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে ইতোমধ্যে আমি ভর্তিও হয়েছি। টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের Presidential Merit Scholarship পেয়েছিলাম। এ ছাড়াও Temple University থেকে Provost’s Scholarship পেয়েছি। Florida International University থেকে Gold and Blue Scholarship পেয়েছি। Gettysburg College থেকে Abraham Lincoln scholarship পেয়েছি। এছাড়াও Michigan and Huron Institute থেকে Lux Esto Scholarship পেয়েছি। University of Texas at Arlington থেকে Presidential Merit Scholarship পেয়েছি।
আপনি কোন স্কুল-কলেজে পড়েছেন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন কীভাবে গড়ে উঠেছিল?
মাহাদি ইব্রাহিম: আমার স্কুলজীবনের বেশিরভাগ কেটেছে মালায়শিয়ার কেলানতান স্টেটের কেলানতান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। আমার বাবা-মা সে সময়ে মালয়েশিয়ায় গবেষক হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। সেখানে নানা দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে মেলামেশা করে, পড়াশোনা করে বিস্তর অভিজ্ঞতা হয় আমার। সেখানের কারিকুলাম ও শিক্ষাপদ্ধতি বেশ গভীর ও বৈচিত্র্যময়। ক্যারিয়ার নিয়ে, সমাজ নিয়ে ওদের যে ভাবনা, তা পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ হয়। এরপরই সিদ্ধান্ত নিই, উচ্চশিক্ষা নিতে এমন কোথাও যেতে হবে যেখানে শুধু ক্লাসরুম নয়, প্রতিটি মুহূর্ত থেকে কিছু শেখা যাবে।
এরপর দেশে ফিরি ২০১৮ সালে, ভর্তি হই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজে। সাভারে তখন সেরকম একটা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রচলন ছিল না। বাবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করায় ঢাকায় থাকা কঠিন ছিল। তখন বাংলা বলতে পারলেও, লিখতে পারতাম না ভালোমতো। এরপর কোভিডের লকডাউনের সময়টা প্রচুর পরিশ্রমের পর এনসিটিবি কারিকুলামটা আয়ত্ত করি। এরপর এসএসসি পরীক্ষা দেয়া হয় সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজ (পূর্বে জিরাবো ক্যানটনমেন্ট নাম ছিল) থেকে।
৬টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার পাওয়া এবং স্কলারশিপ অর্জনের এই অসাধারণ যাত্রার শুরুটা কীভাবে হয়েছিল?
মাহাদি ইব্রাহিম: স্কুল লাইফ শেষ হয় বাংলা মাধ্যমে মানিয়ে নিতে নিতেই। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পরে এই দিকে মনোযোগ দেয়ার সময় পাই। এসএসসি পরীক্ষার ছুটিতে প্রথম SAT পরীক্ষার জন্য বসি। এরপর বিভিন্ন রকম এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজের সাথে নিয়োজিত হই। বিতর্ক করতে খুব ভালো লাগত। বিটিভির জাতীয় স্কুল ও কলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান প্রাপ্ত দলের অংশ ছিলাম। বাংলা ঠিকমতো বলতে না পারা থেকে বাংলা সনাতনী বিতর্কে জাতীয় পর্যায় যাওয়ার পথটা সহজ না হলেও, সম্ভব হয়েছে আমার টিম ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায়। এরপর রোবোটিক্স ক্যাম্পে অংশ নেয়া, বাংলাদেশ বিজনেস ফেস্টে রানার আপ হওয়া, মার্শাল আর্টে মালয়েশিয়ায় স্টেট লেভেলে সিল্ভার মেডেল থাকা ইত্যাদির কারণে প্রোফাইল কিছুটা ভারি হয়। এরপর হাত দিই অ্যাপ্লিকেশন করার দিকে। শুরু থেকেই আমার বাবা-মার অনেক সাপোর্ট ছিল। বাবার কাছ থেকে যখন যা সহযোগিতা লেগেছে. পেয়েছি। আমার সাথে পুরো জার্নিটা আমার বাবাও করেন, স্যাট সেন্টারে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ভিসা কালেক্ট করতে যাওয়া পর্যন্ত, ছায়ার মতো সাথে থাকেন। মার অনেক অসুস্থতার পরেও কখনো কাজ নিয়ে প্রেসার দেননি। মা-বাবাকে ছাড়া শুরুই করতে পারতাম না।
এনসিটিবি কারিকুলামের শিক্ষার্থী হিসেবে SAT, IELTS এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছিলেন?
মাহাদি ইব্রাহিম: যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাব ঠিক করেছিলাম। তাই SAT এর প্রস্তুতি নেই। আমার কলেজের সালাউদ্দিন স্যার এই ক্ষেত্রে প্রচুর অনুপ্রেরণা দেন। তার সহযোগিতায় কলেজে আমি একটি ক্যারিয়ার ক্লাবও প্রতিষ্ঠা করি, যেখানে শিক্ষার্থীদের SAT, EPT (English Proficiency Test), Essays, Extra Curriculars ইত্যাদি নিয়ে সহযোগিতা করা হয়। বাহিরে যেতে IELTS সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। আপনি ইংরেজি মাধ্যমের বা এনসিটিবির ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থী হলে অনেক ক্ষেত্রে আপনার IELTS এর প্রয়োজন নেই, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড় দেয়। বাংলা ভার্সনের শিক্ষার্থী হওয়ায় আমার দিতে হয় EPT। তবে আমি IELTS না দিয়ে ডুওলিঙ্গো দিই। এতে অনেক সময় বাঁচে, খরচ ও IELTS এর এক চতুর্থাংশ হয়। আবার অনেকেই জানেন না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে IELTS স্কোর পাঠাতেও একটা মোটা অঙ্ক খরচ হয়। ডুওলিঙ্গো দিলে বিনামূল্যে পাঠানো যায়। স্যাট এর জন্য আমি কোথাও কোচিং করিনি, শুধু খান একাডেমি আর কিছু বই ফলো করেছি, ইউটিউবে রিসোর্সগুলো কাজে লাগিয়েছি। পাশাপাশি যারা এর আগে ভালো ফল করেছেন, তাদের গাইডলাইন নিয়েছি। ডুওলিঙ্গো এর ক্ষেত্রে রিসোর্স তুলনামূলক একটু কম, তাও যারা এর আগে ভালো করেছেন, তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানা যায়। এই যাত্রায় আমি শেষ মুহূর্তে এসে আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হই। আমার HSC-এর result দিবে October-এর দিকে। কিন্তু আমার university-এর requirement — class start হওয়ার ৬ weeks-এর ভেতরে High School result দিতে হবে। আমার তাই GED (American High School diploma)-এর preparation নিতে হয়। আমি HSC-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, পাশাপাশিই American History, Social Science, ওদের curriculum-এর English Literature, Science — সব পড়া লাগছিল। ওরা requirement দেয় শুধু pass করলেই হবে না, 165+ লাগবে each subject-এ। পরে pass করি, Alhamdulillah English আর Math-এ 180+ (world-এর top 3 percentile) ও পেয়েছি।
আপনার মতে, এত বড় স্কলারশিপ পাওয়ার পেছনে কোন বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে?
মাহাদি ইব্রাহিম: আমার মনে হয় ৩টা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথমত সঠিক গাইডলাইন। বাংলাদেশে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো অলিতে-গলিতে অনেক এজেন্সি আছে, যাদের কারণে অনেক শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও পটেনশিয়াল নষ্ট হয়। আমি জানতাম নিজেকেই রিসার্চ করে বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট নির্ধারণ এবং অ্যাপ্লিকেশন রেডি করতে হবে। আবার অনেকে মনে করে ইন্টারনেটেই তো সব আছে, সার্চ করলেই হয়। এটাও একটা ভুল ধারণা। অনেক অভিজ্ঞতা ও রিসার্চ স্কিল প্রয়োজন। আমাকে এই সময় সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করে মো. মাসুক উর রশিদ ভাই। একটা গবেষণার কাজ করতে গিয়ে তার সাথে পরিচয় হয়। উনি না থাকলে হয়ত আমি এবার যাওয়া কল্পনাই করতে পারতাম না। দ্বিতীয়ত, একটা ওয়েল রাউন্ডেড প্রোফাইল তৈরি করতে পারাটা। অনেকে শুধু ECA তে ফোকাস দেয়। কিন্তু আসলে একটা প্রায়োরিটি আছে। আগে কোথায় আপ্লিকেশন করব এবং আমার কত স্কলারশিপ/এইড লাগবে তা নির্ধারণ, এবং সেই অনু পরবর্তীতে অ্যাকাডেমিকস শেষ করা, এবং যদি প্রয়োজন হয় সেভাবে ECA, Essay গোছানো। আমি কয়েকটা সেবামূলোক প্রতিষ্ঠানেও অংশ নিই। জাবি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠিত সঞ্জীবন, আমার বন্ধু সৌহার্দ্য কুণ্ডুর প্রতিষ্ঠিত হার্বালজ এবং আন্তর্জাতিক লিও ক্লাব এর মধ্যে অন্যতম। সাভারে প্রথমবারের মতো আন্ত:প্রতিষ্ঠান ফেস্ট NTHO এর আয়োজনের উদ্যোগ নেই। Essay গুলোতে প্রচুর সময় ব্যয় করি। তৃতীয়ত, রিস্ক টেকিং এবিলিটিটা আমার খুব প্রয়োজন ছিল। কারণ এখানে একটু পথভ্রষ্ট হলেই HSC, Higher Education দুটোই হাতছাড়া হতো। কিছুটা বোকাও হয়ত ছিলাম, কারণ ঠান্ডা মাথায় রিস্ক আসেসমেন্ট করলে হয়ত এই দুঃসাহস করতামই না!
ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা কিংবা তথ্যের সীমাবদ্ধতা কীভাবে মোকাবিলা করেছেন?
মাহাদি ইব্রাহিম: ইংরেজি ভাষা আমি কখনো অ্যাক্টিভলি শেখার চেষ্টাই করিনি। বরং সেই চেষ্টা করতে দেখে অনেককে হাজার হাজার টাকা কোর্স, বই আর কোচিংয়ে ঢালে যারা, তাদের ঘায়েল হতে দেখেছি। একটা ভাষা শেখার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হলো প্যাসিভ-ভাবে, বই পড়ে, সিনেমা দেখে শেখা। আমার ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি প্রবল নেশা ছিল। আবার অনেক মুভি, সিরিজ ও পত্রিকাও কনজিউম করা হতো। তাই আমি বলব হাতে একটু সময় নিয়ে এভাবেই ইংরেজি শিখতে, আর পারলে কোনো বন্ধু, পরিবার, বা তাও না হলে AI এর সাথে স্পোকেন ইংলিশ চর্চা করতে। আর তথ্যের ক্ষেত্রে আমি সবসময় তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছি, যারা ভালো বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ সহ পড়ছেন, তা ইউটিউব থেকে হোক বা ফেসবুকে মেসেজ দিয়েই হোক। আমার ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রতিনিয়ত অনেকে সাহায্য চায়। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব, বিনামূল্যে কন্টেন্ট ও সাজেশন দিয়ে নতুনদের যতটা পারি সহযোগিতা করি।
আপনার অভিজ্ঞতা থেকে NCTB-এর শিক্ষার্থীদের কী বার্তা দিতে চান, যারা অর্থনৈতিক বা ভাষাগত কারণে পিছিয়ে আছে?
মাহাদি ইব্রাহিম: প্রথমেই বলব যে সুযোগের অভাব নেই। আন্ডারগ্র্যাডে না হলেও, যুক্তরাষ্ট্রে না হলেও, অপরচুনিটি আছে হাজারটা। আমি অনেককে চিনি যাদের একটা ভালো জ্যাকেট কেনার টাকা নেই, অথচ বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ছেন। মা-বাবাকে বোঝাতে হবে যে এটা একটা ইনভেস্টমেন্ট, আর আপনার নিজেকে সেভাবে নির্ভরযোগ্য করে তুলতে হবে। কিন্তু গ্র্যাজুয়েশন শেষে গেলেও প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখন থেকেই। বিশেষ করে ইংরেজির দক্ষতাটা। নিজের ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় আর অ্যাকাডেমিক প্রেস্টিজের আগে। শুধু পুথিগত বিদ্যা দিয়ে কিছু হবে না। বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লিকেশনেও এই ব্যাপারগুলোই দেখে। ওদের অনেক হলিস্টিক অ্যাডমিশন প্রসেস, যার প্রস্তুতি নিলে আপনি না টিকলেও, জীবনের দৌড়ে অনেক এগিয়ে যাবেন। আর বলব, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা ‘ড্রিম’ বা লক্ষ্য না রাখা, তা বুয়েট হউক বা হার্ভার্ড। একজন কম্পিটেন্ট মানুষের জীবনের লক্ষ কখনো শুধু একটা ইন্সটিটিউটে ঢোকা হতে পারে না। এ রকম অ্যাপ্লিকেন্টদের এরা নেয়ও না। বরং নিজে দক্ষ হয়ে দেশ ও জাতির হাল ধরতে পারাটাই ‘ড্রিম’, ‘বাংলাদেশি ড্রিম’।