মেক্সিকোতে এক যাত্রীর উন্মত্ত ছিনতাই চেষ্টায় পুরো ফ্লাইটে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এল বাজিও থেকে তিজুয়ানাগামী ভোলারিস ৩৪০১ ফ্লাইটে ওই যাত্রী বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রে ঘুরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এসময় অন্য যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় যাত্রীটি চিৎকার করে বলেন, “বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যেতে হবে।” তার আচরণ ক্রু সদস্যদের সতর্ক করে তোলে, এবং তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্রু সদস্যদের সঙ্গে মারামারি করছেন এবং তাদের শারীরিকভাবে আঘাত করছেন।
এই পরিস্থিতিতে পাইলট তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিমানটি গুয়াদালাহারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডাইভার্ট করেন। সেখানে নিরাপদে অবতরণের পর অভিযুক্ত যাত্রীকে আটক করা হয়। মেক্সিকোর অবকাঠামো, যোগাযোগ ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।”
গুয়াদালাহারা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যাত্রীর নাম মারিও এন (৩১)। তার দাবি, তার এক আত্মীয়কে অপহরণ করা হয়েছে, এবং অপহরণকারীরা তাকে হুমকি দিয়েছে যে, তিনি তিজুয়ানায় গেলে তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হবে।
ভোলারিস এয়ারলাইন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সকল যাত্রী ও ক্রু নিরাপদে রয়েছেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত।”
যদিও যাত্রীরা কিছুক্ষণ আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন, তবে ক্রু সদস্যদের দক্ষ পদক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। নিরাপদ অবতরণের পর কিছুক্ষণের বিরতি দিয়ে বিমানটি তিজুয়ানার উদ্দেশ্যে পুনরায় উড্ডয়ন করে।
এখনো ঘটনার তদন্ত চলছে। মারিও এন-এর দাবির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে, এবং মেক্সিকোর নিরাপত্তা ও এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিশদভাবে বিশ্লেষণ করছে।
এই ঘটনা বিমান নিরাপত্তার গুরুত্ব এবং ক্রুদের দক্ষতার প্রতি নতুন করে আলোকপাত করেছে। তাদের সঠিক পদক্ষেপের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।